৫৮ ঘণ্টার অনশন শেষে কুয়েট শিক্ষার্থীদের বিজয় মিছিল

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এস কে শরিফুল আলমকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির ঘোষণার পর অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বুধবার দিবাগত রাত ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তানজীমউদ্দিন খান অনশনরত শিক্ষার্থীদের জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙান। দাবি পূরণ হওয়ায় ৫৮ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙেন শিক্ষার্থীরা।
অনশন ভাঙানোর আগে তানজীমউদ্দিন খান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো একটি বার্তা শিক্ষার্থীদের সামনে পড়ে শোনান। বার্তায় জানানো হয়, সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে একজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হবে এবং নতুন নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।
এর আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ জানান, কুয়েটে সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে।
মো. মামুন অর রশিদ জানান, অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আদেশে উল্লেখ করা হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এস কে শরিফুল আলমকে পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ২১ এপ্রিল বিকেল থেকে আমরণ অনশনে বসেছিলেন কুয়েটের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার গিয়ে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এস কে শরিফুল আলমকে পদত্যাগের আলটিমেটামে দেন।
তবে কুয়েট উপচার্য ও উপ-উপাচার্য বলেছিলেন, সরকার তাঁদের না সরালে নিজে থেকে পদ ছাড়বেন না। শেষ পর্যন্ত সরকার-ই তাঁদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।